সাহিত্য আলোচনা

সুনীতি দেবনাথের চলো যাইকবিতার স্বরূপ উন্মোচন
রুবেল পারভেজ 

কবি সুনীতি দেবনাথ আমাদের অনেকের কাছে পরিচিত নাম। আমি তাঁর ‘চলো যাই’ কবিতার স্বরূপ উন্মোচন প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে চাই।
তাঁর এই কবিতাটি পয়ার ছন্দের আধুনিক রূপ। পয়ার ছন্দ বলতে আমরা আট-ছয় মাত্রার লঘু পয়ারকেই বুঝি। চণ্ডীদাস-কৃত্তিবাসের সময় থেকে আট-ছয় মাত্রার এই পয়ারই বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । স্মর্তব্য যে, পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য, ভবানীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল, গৌরীমঙ্গল,কমলামঙ্গল, দুর্গামঙ্গল, গঙ্গামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, এছাড়াও লৌকিক মঙ্গলকাব্য, শিবমঙ্গল, মনসামঙ্গল, কালিকামঙ্গল, শীতলামঙ্গল, রায়মঙ্গল,ষষ্ঠীমঙ্গল, সূর্যমঙ্গল, সারদামঙ্গল প্রভৃতি মঙ্গলকাব্যে ব্যবহৃত ছন্দ হল পয়ার ছন্দ । এই ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্য হল, এতে ১৪ টা অক্ষর থাকবে এবং লাইনগুলো আট-ছয় মাত্রায় ভাগ থাকবে। পর পর দুটি লাইনের শেষে অন্ত্য মিল থাকবে। আর চরণের শেষে মিল থাকার কারণে একে মিত্রাক্ষর ছন্দ বলা হয় । পয়ার ছন্দ অক্ষরবৃত্ত ছন্দ। কিন্তু সুনীতি দেবনাথ সেটাকে ভেঙ্গে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র রূপ দিলেন। তিনি প্রতি লাইনে ১৪ টা অক্ষর রেখেছেন ঠিকই কিন্তু এখানে লাইনের শেষে কোন মিল বিন্যাস নেই। আট-ছয়, মিলটাও ভেঙে সরল করেছেন গদ্যকবিতার স্বার্থে। এটা মুক্তক এবং গদ্য ছন্দ। মুক্তকই কবিতার মূল মুক্তি।
মধ্যযুগের শেষেও পয়ার ত্রিপদীর দাপট ছিল। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর অমিত্রাক্ষর ছন্দে এসে মিলটা উঠালেন, চরণ বিন্যাসে পরবর্তী পঙ্‌ক্তিতে বিরতি টেনে নিলেন। মূলত মাইকেল তাঁর অমিত্রাক্ষর ছন্দে কেবল চরণগুলির অন্ত্যমিল বিলোপ করেন এবং যতি চিহ্নের ব্যবহারকে পরবর্তী চরণে স্থাপন করলেন। এই মিল ভাঙ্গার প্রয়োজন তাঁর কাছে অনুভূত হয়েছিল কবির স্বাধীন চিন্তাকে স্বতোৎসারিত করার স্বার্থে। কিন্তু মাইকেল চরণবিন্যাসে আট ছয়ের বন্ধন যথাযথ রেখে দেন। বাঁধন থেকেই গেলো। অন্যদিকে মাইকেল যেখানে থেমেছিলেন সেখান থেকে বাকিটা করলেন সুনীতি দেবনাথ। সেটাকেও ভাঙ্গলেন। ছন্দের ভেতরে প্রচুর ভাঙ্গাচুরা করে তিনি পয়ার ছন্দকে মুক্তি দিলেন, সেই আজন্ম বাঁধন খুলে দিলেন। আট ছয়ের বন্ধন চুরমার হয়ে গেল, কবিতার চলনে মিলল মুক্তি, ভাব জমাট হয়ে গভীরে ডুব দিল। গদ্য ছন্দ এসে আসন জুড়ে বসলো চৌদ্দটি মাত্রার মধ্যেই। আর কোন বাধা নেই, কবিভাষা মুক্তির পরিসরে যুগোপযোগী গদ্যের সবল চলনে আর মাত্রার আপাত বন্ধনে, কঠোরে কোমলে অবাধে বিচরণ করতে সক্ষম হলো। বোধহয় এমনটা দরকার ছিল। কেননা মাইকেলের যুগ আর এ যুগের বিস্তর ফারাক।
আমরা এখন অন্য দিগন্তে দাঁড়িয়ে—
অমল এ লিপিকা এসেছে কোথা থেকে কোন সুদূর নক্ষত্রের আলোকোজ্জ্বল
মহিমার বাণীবহ রয়েছে অজানা।
এই তনু পুরোনো জীর্ণতায় জর্জর
ছাড়তে হবে যেতে হবে কোন সে গ্রহে,
তুমিও জানো না আমিও জানিনা মোটে।
কবি এখানে জীবনের অন্তিম মুহূর্তের কথা ব্যক্ত করেছেন। আমরা এখন জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে।
আমরা এখন জীবনের শেষ পর্যায়ে। মৃত্যুর নিদান নিয়ে পত্র এসেছে, সে পত্র বিমল, উপনিষদে বলা হয় মৃত্যুতে অমৃতত্ব ও আনন্দে পৌঁছানো যায়। স্বয়ং ঈশ্বর সেই অমৃত আনন্দ সত্তা।
আমাদের চলে যাওয়ার এই মৃত্যু বার্তা কোন সুদূর মহিমান্বিত আলোক উৎস থেকে আসে আমরা তা নাওয়াকিব। আমাদের এই দেহ ত্যাগ করে চলে যেতে হবে কোন অদৃশ্য ঠিকানায় তা অজানা। কিন্তু কোথায় যাবো? মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে কবির সংশয়।
দেহ বার্ধক্য জীর্ণ। জীর্ণ বস্ত্র ত্যাগ করে নব বস্ত্র পরা হয়। " বাসাংসি জীর্ণানি ..
.ইত্যাদি বলা হয়েছে শ্রীমদ্ভগবদ গীতায়।তারই প্রতিধ্বনি যেন —কবির কবিতায় ' এই তনু পুরোনো জীর্ণতায় জর্জর ', এদেহ মৃত্যুর মাধ্যমে ত্যাগ করে ঈশ্বরে যাওয়া।
তবু খোলা দরজা পেরিয়ে যেতে হবে
ঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে উঠোনে নেমে
পায়ে পায়ে চলতে হবে নামতে হবে
খোলা পথে বেদিশা ঠিকানা অজানায়।
তবুও আমাদের সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে সেই অজানা ঠিকানায়। ইহকাল মানবজীবনের শেষ নয়। মৃত্যুর পরও মানুষের জন্য রয়েছে এক অনন্ত জীবন। একদিন সবাইকেই মরতে হবে এবং দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে”। (সূরা আম্বিয়া : ৩৫ নং আয়াত)।
চলো না সেদিনের মতোই চলো যাই
একটিবার, হোক না শেষবার হোক,
নদীর কাছে যাই স্রোতের কাছে যাই,
শিখে নিই গতির চরম কথাখানি —
এগিয়ে চলায় পেছন ফেরাটা মানা
চল চল জল সামনেই কল কল —
কেমন চলা সাগরে নয় উৎসে ফেরা!
জীবন মানেই গতি। উৎস থেকে আসা আবার প্রত্যাবর্তন। বেদ উপনিষদে বলা হয়েছে ' চরৈবেতি ' অর্থাৎ গতিই জীবন ও সৃষ্টির ধর্ম।
‘নদীর কাছে যাই’, এখানে পাশ্চাত্য দার্শনিক বের্গোসোঁর গতিতত্ত্বের প্রভাবে তাঁর এই গতিতত্ত্বে আকৃষ্ট হয়ে রবীন্দ্রনাথ প্রয়োগ করলেন নিজের গতি তত্ত্ব ‘বলাকা’ কাব্য গ্রন্থে। গতির প্রতীক নদী , সমুদ্রে যায় কিন্তু এখানে উৎসে ফেরে। মৃত্যুও গতি, সে গতি জীবনকে উৎসে নেয়। এখানেই কবিতার উল্লম্ফন বা বাঁক বদল।
সর্বভূতে, " অনুরোনিয়ান্ " ঈশ্বর। এ বিশ্বের সমগ্র অনু পরমানুতে তিনি। তাঁতে সৃষ্টি স্থিতি লয়। মৃত্যুতে দেহ নষ্ট হয়, আত্মা অবিনশ্বর, তা ঈশ্বরে বিলীন হয়। উৎসে ফেরা। খণ্ড সমগ্রে মিশে যায়। তিনি সৃষ্টি করেন, পালন করেন, ধ্বংস করেন। এখানেও উপনিষদের মর্মবাণী।
বিশ্ব জুড়েই তুমি আমি ছড়িয়ে আছি
এবার যাত্রা তোমার আমার একাকী,
দেখা হবে জানি আবার সেই সেখানে
মিলে মিশে সর্বশেষে হবো একাকার।
পরমের খণ্ড তো বেদনা চিরন্তন,
নিরাকার নির্বিকার হয় শুধু পূর্ণ।
অনন্ত কি সত্যিই অপার সীমাহীন?
সমগ্র অনন্ত জুড়ে প্রসারিত সেই
পরম একক, তার খণ্ডিত বিলাসে
তুমি আমি দৃশ্য অদৃশ্য সব কিছুই।
আনন্দ ও অমৃত সত্ত্বা। পরমাত্মা সৃষ্টির আনন্দে নিজেকে খণ্ডিত করে সৃষ্টি করেন। নজরুলের দর্শন, “খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু ...”,আনন্দ। জন্ম মৃত্যু তো একাকার। সৃষ্টির আনন্দ, আত্মা পরমাত্মার মৃত্যুর মাধ্যমে মিলনের আনন্দ। রবীন্দ্রনাথের দর্শন, ‘তোমায় আমায় মিলন হবে বলে..', 'আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা ...' এসব মিথ আর দর্শনের পাঞ্চ কবিতাটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
একের খণ্ড অবকাশ বিরহ পথে
পূর্ণতার মিলনেই প্রাপ্তির আনন্দ,
চলো আজ সেই আনন্দপথেই হাঁটি।
মিথ্যা জন্ম - মৃত্যু মিথ্যা বিরহ বেদনা
সত্য শুধু অনির্বান আনন্দ অসীম —
আলোয় আলো হয়ে প্রতিভাসিত হই।
উপনিষদে বলা হয়েছে, " অসদো মা সদ্ গময়োঃ। / তমসো মা জ্যোতিরগময়োঃ " অসততা থেকে সততায় নিয়ে যাও অন্ধকার থেকে আলোতে। ঈশ্বর এক নিরাকার নির্বিকার অদ্বিতীয় পরম এক। ব্রাহ্ম ধর্মীয় রবীন্দ্রনাথ উপনিষদে প্রভাবিত, আলোর প্রার্থনা। জন্ম মৃত্যু সবই পরমের খেলা। পরিণতি মিথ্যা সব। সবকিছুই। তাই উপনিষদ বলেছে , তমসো মা জ্যোতির্গময়োঃ। “আমাকে অন্ধকার থেকে আলোয় নাও” , “মৃত্যু বেদনা থেকে অমৃতে আনন্দে নাও”। রবীন্দ্র দর্শন, " আনন্দ ধারা বহিছে ....", কিংবা " আলো আমার আলো ওগো ....." এখানেও অমৃত আনন্দ লাভের আকুল আর্তি।
কবি সুনীতি দেবনাথ পয়ার ছন্দের মুক্তি দিয়ে মিথোলজি, পরাবাস্তবতা ও ধর্মীয় দর্শনসহ নানাবিধ দর্শনের মিশ্রণে নির্মাণ করেছেন এক অনবদ্য কবিতা। তাঁর ‘চলো যাই’ কবিতায় ব্যবহৃত হয়েছে জীবনের নানা দর্শন। তাঁর এই যাত্রা যে অনন্ত অমৃতে উৎসের কাছে চিরন্তন যাত্রা। এই উৎসই আমাদের অমোঘ গন্তব্যের প্রতীতীযোগ্য ঠিকানা। নিঃসন্দেহে বলা চলে তাঁর এই সৃষ্টি বাংলা কাব্যসাহিত্যে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। সেই দিক থেকে এই কবিতা ইতিহাসও।
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকপ্রবর ড.অনিরুদ্ধ বসু সুনীতি দেবনাথের ' চলো যাই 'কবিতা সম্পর্কে যথার্থ বলেছেন, " বাংলা কাব্য সাহিত্যের এক অভিনব সৃষ্টি এই কবিতা। পয়ার ছন্দকে ভেঙ্গে আধুনিক রূপ দান। এ এক নতুন ইতিহাস। এতে কোরআন, হিন্দু পুরাণ, উপনিষদের মিথলজি অসাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আর পরাবাস্তবতার গভীর বোধ থেকে জাগতিক জীবনের যে যাপিত অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে তার বাস্তবতা অমোঘ সত্য এবং অতলান্ত এই বোধ আমাদেরকে তন্ময়তার জগত থেকে মন্ময়তার জগতে নিয়ে যায়। সমস্ত চেতনা জুড়ে চিন্তার ঝড় তোলে। মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা জাগতিক স্তর পার হয়ে পরমাত্মার সাথে মিশে সৃষ্টি করে এক মেলবন্ধন। অন্ধকার থেকে চিরআলোকময় জগতে সেই পরমেশ্বরের কাছে পৌঁছে যাওয়া। এ যে অনন্ত অমৃতে মহাযাত্রা মহাশক্তির প্রাণকেন্দ্রে। "
শ্রীমদ্ভগবদ গীতার বাণী, দেহ জীর্ণ বসনের মত ত্যাগ করে আত্মা পরমাত্মায় বিলীন হয়। আত্মা অবিনাশী, পরমাত্মার অংশ বলে। পরমাত্মা আত্মারএই তত্ত্ব বৈষ্ণব দর্শন তত্ত্বের সঙ্গে মিলে যায় । ঈশ্বর পরম একক- পরমাত্মা। উপনিষদে বলা হয়েছে ঈশ্বর এক অদ্বিতীয় “একমেবাদ্বিতীয়ম্ "। পরমাত্মা আপন আনন্দে সৃষ্টি ব্যাকুল। সৃষ্টি করেন জীবাত্মাকে আপন অংশ।
চলো যাই
========
© সুনীতি দেবনাথ
[ এমন কিছু সম্পর্ক থেকে যায় যা ভালোবাসার জরিন ফিতেয় জড়ানো আর সমুদ্র পারের ঝাউয়ের মাতাল হাওয়ায় বড়ই স্নিগ্ধ, সমুদ্রের গভীর গর্জনেও আত্ম সমাহিত — তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্কটাও অনেকটা তেমনি। তুমি আমার প্রিয় ভগ্নী, প্রিয়তমা বান্ধবী। তোমাকেই আমার এ কবিতা উৎসর্গ করছি। ]
আমরা এখন অন্য দিগন্তে দাঁড়িয়ে—
অমল এ লিপিকা এসেছে কোথা থেকে
কোন সুদূর নক্ষত্রের আলোকোজ্জ্বল
মহিমার বাণীবহ রয়েছে অজানা।
এই তনু পুরোনো জীর্ণতায় জর্জর
ছাড়তে হবে যেতে হবে কোন সে গ্রহে,
তুমিও জানো না আমিও জানিনা মোটে।
তবু খোলা দরজা পেরিয়ে যেতে হবে
ঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে উঠোনে নেমে
পায়ে পায়ে চলতে হবে নামতে হবে
খোলা পথে বেদিশা ঠিকানা অজানায়।
চলো না সেদিনের মতোই চলো যাই
একটিবার, হোক না শেষবার হোক,
নদীর কাছে যাই স্রোতের কাছে যাই,
শিখে নিই গতির চরম কথাখানি —
এগিয়ে চলায় পেছন ফেরাটা মানা
চল চল জল সামনেই কল কল —
কেমন চলা সাগরে নয় উৎসে ফেরা!
বিশ্ব জুড়েই তুমি আমি ছড়িয়ে আছি
এবার যাত্রা তোমার আমার একাকী,
দেখা হবে জানি আবার সেই সেখানে
মিলে মিশে সর্বশেষে হবো একাকার।
পরমের খণ্ড তো বেদনা চিরন্তন,
নিরাকার নির্বিকার হয় শুধু পূর্ণ।
অনন্ত কি সত্যিই অপার সীমাহীন?
সমগ্র অনন্ত জুড়ে প্রসারিত সেই
পরম একক, তার খণ্ডিত বিলাসে
তুমি আমি দৃশ্য অদৃশ্য সব কিছুই।
একের খণ্ড অবকাশ বিরহ পথে
পূর্ণতার মিলনেই প্রাপ্তির আনন্দ,
চলো আজ সেই আনন্দপথেই হাঁটি।
মিথ্যা জন্ম - মৃত্যু মিথ্যা বিরহ বেদনা
সত্য শুধু অনির্বান আনন্দ অসীম —
আলোয় আলো হয়ে প্রতিভাসিত হই।

মন্তব্যসমূহ

  1. এই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  2. এই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাশিয়ার কবিতা

তোমার অধর ছুঁয়ে নামুক বসন্ত

তোমার জন্য রজনীগন্ধা দিন